https://powerinai.com/

ল্যাপটপ কমপিউটারের ন্যূনতম মূল্য মধ্যবিত্ত ও নিম্মধ্যবিত্ত ছাত্র-ছাত্রী, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সারদের নাগালের বাইরে চলে যাবে

ল্যাপটপ, প্রিন্টার এবং টোনারকার্টিজের উপর ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন

বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি লোগো বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি লোগো
 

২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি করা ল্যাপটপ, প্রিন্টার, টোনার কার্টিজের উপর আমদানী পর্যায়ে অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। করোনাকালীন সংকটের কারণে এবং জাহাজীকরণ ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় ৩০% মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ায় বাংলাদেশে কমপিউটারের দাম অতিরিক্ত ১০% বৃদ্ধি হয়েছে। তদুপরি ১৫% অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপের ফলে সর্বমোট ৫৫% মূল্যবৃদ্ধি পাবে

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নিকট ল্যাপটপ, প্রিন্টার এবং টোনার কার্টিজের উপর প্রস্তাবিত অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি।

 

২১ জুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৯৮ সালে কমপিউটারের উপর সকল ভ্যাট এবং ট্যাক্স প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের প্রধানমন্ত্রী যে গোড়া পত্তন করে দিয়েছিলেন, তার উপর নির্ভর করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশতাই আজ বিশ্ব-দুয়ারে গর্বিত উদাহরণ। মূলত বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে কমপিউটারের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একদা নাগালের বাইরে থাকা কমপিউটার সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দেয় আপনার ১৯৯৮ সালের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এর ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ব্যবসা, দাফতরিক কাজসহ সর্বক্ষেত্রে আজ কমপিউটার একটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে।

 

করোনার সময়ে পুরো বাংলাদেশের সকল জরুরী কার্যক্রম যেমন স্বাস্থ্য সেবাসহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের সার্ভিস, অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা, স্কুলের অনলাইন ক্লাস, মানুষের জীবনযাত্রাকে সচল রাখার সকল কার্যক্রম  কমপিউটারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে কমপিউটার ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ হচ্ছে মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত ছাত্র-ছাত্রী, ছোট মাঝারি ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সার।

 

বিদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপিউটার এর যা দাম, তার তুলনায় একই কমপিউটারের সকল যন্ত্রাংশ সংযোজনের উদ্দেশ্যে পৃথকভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাম পড়ে। তাই এই মুহুর্তে বাংলাদেশে শতকরা ৯৯ ভাগ ল্যাপটপ কমপিউটার সংযোজিত অবস্থায় আমদানি করা হয় যদিও আগে থেকে স্থানীয়ভাবে সংযোজন উৎপাদনের জন্য আমদানী করার চেয়ে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ছাড় দেয়া আছে।

 

কিন্তু, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি করা ল্যাপটপ, প্রিন্টার, টোনার কার্টিজের উপর আমদানী পর্যায়ে অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। করোনাকালীন সংকটের কারণে এবং জাহাজীকরণ ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় ৩০% মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ায় বাংলাদেশে কমপিউটারের দাম অতিরিক্ত ১০% বৃদ্ধি হয়েছে। তদুপরি ১৫% অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপের ফলে সর্বমোট ৫৫% মূল্যবৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশংকা করছি।

 

যার ফলশ্রুতিতে একটি ল্যাপটপ কমপিউটারের ন্যূনতম মূল্য মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত ছাত্র-ছাত্রী, ছোট মাঝারি ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সারদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এর ফলে, স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।