https://powerinai.com/

বাংলাদেশ সাইবার টুলস ও সাইবার সল্যুশনে রিসিপিয়েন্ট কান্ট্রি হিসেবে থাকতে চায় না

২০৪১ সালের মধ্যে সাইবার সলুউশনে বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে চায় : পলক

এমআইএসটি-তে সাইবার রেঞ্জ ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন জুনাইদ আহমেদ পলক এমআইএসটি-তে সাইবার রেঞ্জ ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন জুনাইদ আহমেদ পলক
 

বাংলাদেশ সাইবার টুলস ও সাইবার সল্যুশনে রিসিপিয়েন্ট কান্ট্রি হিসেবে থাকতে চায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার-একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে সাইবার টুলস বা সাইবার সলুউশনে বাংলাদেশকে বিশ্বে নেতৃত্বে নিয়ে যেতে চায়।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রবিবার (১০ এপ্রিল ২০২২) মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-তে আইসিটি বিভাগের ‘নিরাপদ ইমেইল ও ডিজিটাল লিটারেসী সেন্টার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে দেশের প্রথম “সাইবার রেঞ্জ ল্যাবএর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী  বলেন, এ লক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডাস্ট্রিকে সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর নিদের্শনায় সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস ও মাইক্রো প্রসেসিং ডিজাইনে ৪টি ডোমেইনে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ। 

 

দেশের সাইবার স্পেস, রাষ্ট্রীয় ডিজিটাল কাঠামো, সামরিক-অসামরিক, সরকারি-বেসরকারি আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এমআইএসটিতে সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন সাইবার রেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ১৩ বছর আগে দেশে সাইবার স্পেস, ডিজিটাল অবকাঠামো বড় ছিল না। ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং লক্ষ্য গুলো পূরণ হয়েছে, তখন সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ দেশের জন্য গুরুত্ব হয়ে দাড়িয়েছে। আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেশে প্রথমবারের মত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত সাইবার রেঞ্জ বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।

 

সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। এটা প্রতিক্ষণের যুদ্ধ। নিয়মিত সক্ষমতা অর্জনের বিকল্প নেই। তাই ২০১৯ সালে এমআইএসটিতে আমরা একটি সাইবার রেঞ্জ স্থাপনের পরিকল্পনা নেই। আজ এই রেঞ্জ উদ্বোধনের আগে আমরা এমআইএসটি টিমের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা আমাদের বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যত প্রয়োনীয়তার জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি।

 

বিশ্বে ২০২১ সালে ৩৫ লাখ সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের চাহিদা ছিল। বিশেষজ্ঞের চাহিদা পূরণে আইসিটি বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে থাকবে ।  এজন্য সিএসইর পাশাপাশি কমপিউটার অ্যান্ড ইনফরমেনশন সিকিউরিটি বিষয় চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নজর দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

এই সুযোগটা কাজে লাগালে আমাদের বৈদেশিক আয় ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে বেগ পেতে হবে না। আমি তখনই আনন্দিত ও সন্তুষ্ট হবো যখন আমি দেখবো এমআইএসটি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা সারা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেবে। ওয়াল অফ ফেমে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের নাম স্থান পাবে।

 

পরে প্রতিমন্ত্রী এমআইএসটির সাইবার রেঞ্জ ল্যাবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি ডাটা অ্যানেলেটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে এমআইএসটির কমান্ড্যান্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।