প্রথম এনজেল বিনিয়োগ পেলো
শিশুদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করা প্রতিষ্ঠান চকপেন্সিল ডটকম। উন্নতমানের সকল ব্রান্ডের
আর্টস ও ক্র্যাফট, শিশুদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট
এবং স্টিম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, কলা ও গণিত) সামগ্রী আগামী প্রজন্মের
কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাবে এই প্রতিষ্ঠান।
তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান
ডব্লিউপি ডেভেলপার ও এআরকমের প্রতিষ্ঠাতা এম আসিফ
রহমানের নেতৃত্বে নতুন বিনিয়োগকারীরা এ বিনিয়োগ করেছেন। এসব বিনিয়োগকারীর মধ্যে ডব্লিউপি
ডেভেলপারের প্রধান নির্বাহী নাজমুল হাসান রূপক অন্যতম। তরুণ বিনিয়োগকারীদের এই বিনিয়োগকে
স্বাগত জানায় চকপেন্সিল।
চকপেন্সিল-এ বিনিয়োগ প্রসঙ্গে এম আসিফ
রহমান বলেন, ‘চকপেন্সিলের
ব্যবসায়িক ধারণাটিই নতুন ও যুগোপযুগী। শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে
কাজ করে চলা এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা পাবার যোগ্য। বাংলাদেশের শিশু এবং আগামী
প্রজন্মের সুস্থ বিকাশের জন্য এমন উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনা
গুলো আমি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে আমি মনে করছি, চকপেন্সিলের সম্ভাবনা দারুণ। ভালো বিনিয়োগ পেলে একটি টেকসই
বিজনেস মডেল ও বিশ্ববাজারে দেশীয় একটি ব্র্যান্ড
হিসেবে দাঁড়াতে পারে চকপেন্সিল।
প্রতিষ্ঠাতা সাইফ আলদ্বীন
ফারাবী জানান, নতুন
এই বিনিয়োগের অর্থ দিয়ে আরো বড় এবং ব্যাপক পরিসরে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে চকপেন্সিল। মূলত নতুন নতুন পণ্য সংগ্রহ, নিজস্ব পণ্য উৎপাদন ও মানোন্নয়ন এবং উন্নত গ্রাহক
সেবা এই তিনখাতে ব্যবহার করা হবে এই প্রাথমিক বিনিয়োগের টাকা। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের
প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাথীদের কাছে আরো ব্যাপকভাবে পৌঁছে যাবে চকপেন্সিল-এর নিজস্ব পণ্য।
চকপেন্সিল-এর নিয়মিত প্যাকেজের মধ্যে
রয়েছে বাচ্চাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্যাকেজ, পুরস্কার ও কর্পোরেট উপহার প্যাকেজ। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে বাচ্চাদের নানান সৃজনশীল কাজে অনুপ্রাণিত করার জন্য প্যারেন্টস কমিউনিটি গ্রুপ– চকপেন্সিল প্যারেন্টস ক্লাবের কার্যক্রম ও ব্যাপক
প্রসারতা পেতে যাচ্ছে। সেই
সাথে দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে গড়া টিচার্স কমিউনিটি গ্রুপ– চকপেন্সিল টিচার্স ক্লাব – যার কার্যক্রম ও শুরু
হতে চলেছে। সর্বোপরি
আমরা বিশ্বাস করি উন্নতসেবা ও বিশ্বমানের সব পণ্য নিয়ে
দেশে ও দেশের বাইরে নির্ভরযোগ্য
একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠবেwww.chalkpencil.com।
চকপেন্সিল প্রতিষ্ঠানটির
প্রতিষ্ঠাতা সাইফ আল দ্বীন ফারাবী জানান, আমার কর্ম জীবনের শুরুটা হয়েছিলো এক বেসরকারি
ব্যাংকের মাধ্যমে। এরপর
বেশ কিছু সময় বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করেছি। চকপেন্সিলের সূচনা করি ২০১৯ সালের শুরুর দিকে। লক্ষ্যছিল শিশু কিশোরদের
আরো বেশি সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত করা। শুরুর পর থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে কাজ করে চলছিল
চকপেন্সিল। কিন্তু
করোনায় লকডাউনের সময় সবার মতো আমরাও উপলব্ধি করি কোমলমতি শিশুদের মানসিক অবস্থার কথা। যে দুরন্ত শিশুরা সারা দিনে
ছুটে বেড়াতো চারদিক, হঠাৎ করেই তারা যেন এক অদৃশ্য
শেকলে বন্দি। কার্টুন
দেখা আর মোবাইল এ গেম বা ইউটিউব দেখা ছাড়া
তাদের আর করার কিছুই যেন নেই। ঠিক
তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি শিশুদের সৃজনশীল কাজে ব্যাস্ত রাখতে হবে।
বাচ্চাদের বয়সভিত্তিক সৃজনশীল
বিকাশ ও সঠিক প্যারেন্টিংএর সচেতনতা
বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে চকপেন্সিল। প্লে, লার্ন, গ্রো এই তিনটি শব্দকে সামনে রেখে বাচ্চাদের
জন্য সৃজনশীল ও আনন্দময় কৈশোর কর্মসূচি নিয়ে
এগিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রতিভা বিকাশের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য ও কাজ করছে
প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বমানের
নিরাপদ পণ্য, আধুনিক
প্যাকিং ও দেশব্যাপী ফ্রি হোমডেলিভারি
সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উন্নত বিশ্বের শিশুরা সৃজনশীলভাবে
বেড়ে ওঠার জন্য যত ধরণের স্টেশনারি পণ্য বা ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খেলনা পায়, আমাদের দেশের শিশুরা তার
দশ শতাংশও পায়না। চকপেন্সিল
প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের জন্যও বিশ্বমানের এমন সব পণ্য সহজ লভ্য করে দিতে চায় যেন
পরিপূর্ণভাবে এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে তারা বেড়ে উঠতে পারে। তবেই তো আমরা পাবো সমৃদ্ধ
এক আগামী। আর
এই লক্ষ্যেই আমাদের নতুন বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।
০ টি মন্তব্য