https://comcitybd.com/brand/Havit

হার্ডওয়্যার

পিসির রক্ষণাবেক্ষণের প্রাথমিক কাজ স্বয়ংক্রিয় করা

পিসির রক্ষণাবেক্ষণের প্রাথমিক কাজ স্বয়ংক্রিয় করা পিসির রক্ষণাবেক্ষণের প্রাথমিক কাজ স্বয়ংক্রিয় করা
 

পিসির রক্ষণাবেক্ষণের প্রাথমিক কাজ স্বয়ংক্রিয় করা


পিসি ব্যবহারকারীরা সবাই জানেন, পিসি যতবেশি ব্যবহার হবে অর্থাৎ যত পুরানো হবে বা পিসিতে যতবেশি ফাইল, প্রোগ্রাম, হার্ডওয়্যার ইত্যাদি যুক্ত ও অপসরণ করা হবে, পিসি ততটা ধীরগতিসম্পন্ন এবং আস্থাহীন তথা কম নির্ভরযোগ্য কমপিউটারে রূপ নেবে।


কিন্তু ব্যবহারকারীরা কেউই পিসির এমন রূপ প্রত্যাশা করেন না। আর সত্য উপলব্ধিতে কমপিউটার জগৎ-এর মার্চ ২০১৪ সংখ্যায় উপস্থাপন করা হয়, কমপিউটার রক্ষণাবেক্ষণের অপরিহার্য কিছু কৌশল শিরোনামে এক লেখা। এ লেখার মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কীভাবে কমপিউটারের মেইনটেনেন্সের অপরিহার্য কাজগুলো সম্পন্ন করা যায়। জুলাই ২০১৪ সংখ্যায় পাঠশালা বিভাগে উপস্থাপন করা হয় উইন্ডোজ মেইনটেনন্স শিরোনামে আরেক লেখা, যেখানে দেখানো হয়েছে উইন্ডোজ মেইনটেন্যান্স স্বয়ংক্রিয় করাসহ আরো কিছু বিষয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ লেখার উপস্থাপন করা হয় পিসির রক্ষণারেক্ষণের কিছু প্রাথমিক কাজ স্বয়ংক্রিয় করার কৌশল।


ব্যবহারকারীদের মনে রাখা দরকার, পিসিকে টিপ-টপভাবে রানিং রাখার মূল কৌশল বা উপায় হলো নিয়মিত এবং পিড়িয়ডিক মেইনটেনেন্সের কাজ কার্যকর করা। তবে পিসি মেইনটেনেন্সের বেসিক কাজগুলো অটোমেট তথা স্বয়ংক্রিয় করা যেমন টেম্পোরারি ফাইল অপসরণ করা, ড্রাইভ এরর ফিক্স করা, ড্রাইভার আপটুডেট রাখা এবং ফাইল ব্যাকআপ করার ফলে ব্যবহারকারীর কমপিউটিং জীবন হয়ে ওঠবে অধিক স্বচ্ছন্দময়। এসব কাজ পিসিকে চমৎকারভাবে টিউন করা ছাড়াও পিসির যত্ন নেবে ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়া।


টেম্পোরারি ফাইল মুছে ফেলার জন্য ডিস্ক ক্লিনআপ শিডিউলিং


ডিস্ক ক্লিনআপ হলো একটি উইন্ডোজ ইউটিলিটি। এটি অনেক ধরনের টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করতে পারে যা হার্ডড্রাইভ স্পেস ফ্রি করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে। আপনি ইচ্ছে করলে ডিস্ক ক্লিনআপ ইউটিলিটিকে শিডিউল করতে পারেন যাতে প্রতি সপ্তাহে বা মাসে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রান করে।


এ জন্য প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট করতে হবে প্রতিবার রান করার ফলে কোন কোন আইটেম ডিস্ক ক্লিনআপ ডিলিট করবে । এই কাজটি করার জন্য সেরা উপায় হলো কমান্ড প্রম্পট থেকে এই ইউটিলিটি রান করানো। উইন্ডোজ ৭-এ কমান্ড প্রম্পট ওপেন করার জন্য Start বাটনে ক্লিক করে টাইপ করুন পসফ এবং এন্টার চাপুন। উইন্ডোজ ৮ এবং এর পরবর্তী ভার্সনের জন্য Start স্ক্রিন ওপেন করে পসফ টাইপ করুন এবং সার্চ ফলাফল থেকে ‘Command Prompt’ টাইপ করুন।


কমান্ড প্রম্পট cleanmgr.exe /sagest: ১ টাইপ করুন বা পেস্ট করুন। কোন কোন আইটেম ডিলিট করতে হবে তা নির্দিষ্ট করার জন্য ডিস্ক ক্লিনআপ সেটিংস-এ প্রতিটি আইটেমে ক্লিক করুন। আপনি ইচ্ছে করলে ডিস্ক ক্লিনআপ সেটিং ডায়ালবক্সে আইটেমসমূহ সিলেক্ট করতে পারেন যেগুলো এই ইউটিলিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিলেক্ট করে ফাইলগুলো ডিলিট করবে। টিপিক্যালি মেনুতে আপনি যেসব অপশন দেখতে পাবেন তার অনেকবেশি অপশন রয়েছে। কমান্ড প্রম্পটে কোনো কমান্ড সিলেক্ট করে Ok করলে পরিবর্তিত কমফিগার সেভ হবে।


সেভ করা কনফিগারেশন ব্যবহার করে একটি Scheduled Task তৈরি করতে পারনে যাতে ডিস্ক ক্লিনআপ ইউটিলিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রান করতে পারে। উইন্ডোজ ৭ এবং আগের ভার্সনে Start বাটনে ক্লিক করে task scheduler টাইপ করুন এবং ‘Task scheduler এ ক্লিক করুন। আর উইন্ডোজ ৮ এবং এর পরবর্তী ভার্সনে Start স্ক্রিন ওপেন করে task schedule টাইপ করে সার্চ ফলাফল থেকে ‘Schedule Tasks’ ওপেন করুন।


Task Scheduler-এর Action টুলবার মেনুতে Create Basic Task টুল সিলেক্ট করে উইজার্ড অনুসরণ করুন এটি সেট করার জন্য। টাস্কে পারফরম করার জন্য প্রম্পট করবে, তখন start a program সিলেক্ট করতে হবে। যখন এটি প্রোগ্রাম/স্ক্রিপ্ট এন্টার করার জন্য প্রম্পট করবে, তখন cleanmgr.exe এন্টার করতে হবে এবং এরপর ‘Add arguments’ ফিন্ডে /sagerun:ও এন্টার করুন।


এবার পছন্দ অনুযায়ী ডিস্ক ক্লিন আপ রান করানোর জন্য তৈরি করুন সিডিউলড টাস্ক অনেক ব্যবহারকারী আছেন যারা একই ধরনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহার করেন যুগান্তকারী ইউটিলিটি সিক্লিনার। এই উইটিলিটি টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করতে পারে। পরিষ্কার করতে পারে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি, মুছে ফেলতে পারে ব্রাউজিং হিস্টোরি ইত্যাদি অনেক কাজ সম্পন্ন করতে পারে। এরপরও আপনার দরকার উইন্ডোজ টাস্ক শিডিউলার ব্যবহার করা যা অটোমেট তথা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিক্লিনার রান করবে।


ড্রাইভ এরর ফিক্স করার জন্য চেক ডিস্ক শিডিউলিং


উইন্ডোজের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া আরেকটি ইউটিলিটি হলো চেক ডিস্ক, যা হার্ড ড্রাইভের এরর চেক ও রিপেয়ার করতে পারে। যথাযথ নিয়মে পিসি শাটডাউন করা না হলে এবং অন্যান্য কারণে করাপ্ট করলে তা রিপেয়ার করতে পারে চেক ডিস্ক ইউটিলিটি। যখন কোনো এরর সংঘটিত হয়, তখন অনেক ভূতুড়ে ব্যাপারে পরিলক্ষিত হয়। চেক ডিস্ক হলো অন্যতম একটি মেইনটেনেন্স রুটিন, যা ব্যবহারকারীরা অভ্যাসবশত রান করে কমপিউটারকে পরিষ্কার পরিপাটি রাখার জন্য বিশেষ করে যখন বিস্ময়করভাবে মাঝেমধ্যে থেমে যায়।


চেক ডিস্ক রান না করিয়ে উইন্ডোজ আরো বেশি স্মার্ট হয়ে ওঠেছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এরর শনাক্ত এবং এরর ফিক্সিংয়ের জন্য। তারপরও প্রতি মাসে বা প্রতি দুই মাসে একবার করে চেক ডিস্ক রান করা উচিত। বিশেষ করে পিসি যদি উইন্ডোজের ভার্সনে রান করে।


পছন্দ অনুযায়ী চেক ডিস্ক রান করানোর জন্য Scheduled Task তৈরি করুন। মাঝে মধ্যে চেক ডিস্ক রান করানোর জন্য ওপেন করুন ‘Task Scheduler’ এবং Action টুলবার মেনুতে Create Basic Task সিলেক্ট করুন এবং তা সেটআপ করার জন্য উইজার্ড অনুসরণ করুন। কোনো টাস্ক কার্যকর করার জন্য যখন বলবে, তখন Start a Program সিলেক্ট করতে হবে। যখন Program/Script এন্টার করার জন্য যখন প্রম্পট করবে তখন fsutil এন্টার করতে হবে এবং ‘Add argument’ ফিল্ডে dirty sel C: এন্টার করুন।


যদি আপনার পিসির সিস্টেম বা উইন্ডোজ ড্রাইভের জন্য C এর পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহার করে, তাহলে আর্গুমেন্টে X এর জন্য ড্রাইভ লেটার সংশোধন করে নিন। এই শিডিউল টাস্ক ড্রাইভকে চিহ্নিত করে ‘dirty’ হিসেবে যাতে উইন্ডোজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী সময়ে কমপিউটার বুট করলে চেক ডিস্ক ইনিশিয়ালাইজ করবে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকার জন্য সৃষ্টি করুন আরেকটি শিডিউল টাস্ক যাতে পিসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিবুট হয়, ড্রাইভ ডার্টি হিসেবে চিহ্নিত হবার পর।


এবার Create Basic Task সিলেক্ট করুন এবং উইজার্ভ অনুসরণ করে চলুন তা সেট করার জন্য। যখন কোনো টাস্ক পারফরম করার জন্য প্রম্পট করবে তখন সিলেক্ট করুন Start a Program এবং এন্টার করুন Shutdown.exe যখন প্রোগ্রাম/স্ক্রিপ্টের জন্য প্রম্পট করবে। এরপর অ্যাড আর্গুমেন্ট ফিল্ডে /r এন্টার করুন।


শিডিউল টাস্ক কনফিগার করার পর এ প্রোগ্রামটি মডিফাই করতে পারবেন এবং নিশ্চিত থাকতে পারবেন যে কমপিউটার যখন ব্যবহার হতে থাকবে তখন এটি রান করবে না। ওই কাজটি করার জন্য Task Scheduler Library ফোল্ডারে ক্লিক করুন এবং এরপর সম্প্রতি আপনার তৈরি করা Scheduled Task-এ ডাবল ক্লিক করুন। এবার conditions ট্যাব সিলেক্ট করে ‘Start the task only if the computer in idle for Ackb চেক করুন এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিবর্তন করুন, ধরুন ১ ঘণ্টা।


ডিভাইস ড্রাইভার আপটুডেট রাখা


পিসির সাথে সংযুক্ত প্রতিটি হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টের জন্য রয়েছে একটি সফটওয়্যার যা ড্রাইভার হিসেবে পরিচিত। পিসির সাথে কীভাবে কমিউনিকেট করতে হয় তা নির্দিষ্ট করতেই এই সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হয়। ম্যানুফেকচারারের সাধারণত ড্রাইভার আপডেট করে থাকে তাদের হার্ডওয়্যারের জানা ইস্যুগুলো সংশোধন করার জন্য অথবা নতুন ফিচার যুক্ত করার জন্য। সুতরাং সব হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টের জন্য পিসিকে আপ-টু-ডেট রাখতে হয় ড্রাইভারসহ।


যদি উইন্ডোজ আপডেট যথাযথভাবে কনফিগার করা থাকে, তাহলে উইন্ডোজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুধু ওইসব ড্রাইভার ইনস্টল করে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ও রিকম্যান্ড করা থাকে। অপশনাল আপডেটকে অবশ্যই ম্যানুয়ালি আপগ্রেড করা থাকতে হবে। তবে আপনি থার্ড পার্টি টুল ব্যবহার করতে পারেন সব ড্রাইভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট করার জন্য। এই ক্ষেত্রে সিণম ড্রাইভারস (StimDrivers) নামের ফ্রি টুলটি চমৎকারভাবে কাজ করতে পারে।


ব্যাকআপ স্বয়ংক্রিয় করা


সিস্টেম এবং পার্সোনাল ফাইল ব্যাকআপ করা হলো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মেইনটেনন্স কাজ যা স্বয়ংক্রিয় করার জন্য বিবেচনা করা উচিত। উইন্ডোজের সিস্টেম রিস্টোর ফিচার তৈরি করে আপনার সিস্টেম ফাইলের রেগুলার ব্যাকআপ এবং তা হবে সর্বোচ্চ মাত্রায়।


এটি বাইডিফল্ট অন থাকে, তবে এটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন। কেননা এক্ষেত্রে সীমাহীন অপশন এবং মেথড রয়েছে আপনার পার্সোনাল ফাইল ব্যাকআপ করার জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্যাটাগরিতে অর্গানাইজ করা যায় যেমন লোকাল ব্যাকআপ এবং ক্লাউড ব্যাকআপ। লোকাল ব্যাকআপ আপনার ডাটাকে আলাদা হার্ডড্রাইভে সেভ করবে। আর ক্লাউড ব্যাকআপ এর মাধ্যমে আপনার ডাটা সেভ হবে অনলাইনে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং ছবি ক্লাউডে ব্যাকআপ করা উচিত যাতে সেগুলো ফিজিক্যালি চুরি বা ড্যামেজ না হয়। আপনি ইচ্ছে করলে ঝুহবইধপশ নামের ফ্রি এবং ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন।


এন্টিভাইরাস অটোমেট করা


পিসি মেইনটেনেন্স এর চূড়ান্ত ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি কাজ হলো সিকিউরিটি যা স্বয়ংক্রিয় করা উচিত সব ব্যবহারকারীর। সবচেয়ে প্রিমিয়াম সিকিউরিটি প্যাক হলো শিডিউলিং অপশন যা স্বয়ংক্রিয় করে এন্টিম্যালওয়্যার অপশন স্ক্যান, তবে ফ্রি সিকিউরিটি সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে এ কাজটি খুব একটা সতর্কতার সাথে বা পরিকল্পনা মাফিক করা হয়নি যার কারণে এ টুল ব্যবহারে সফলতার মুখ তেমন দেখা যায় না। অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীরা এন্টিটভাইরাস সফটওয়্যারকে আরো অধিকতরভাবে অ্যাডভান্স অপশন দিয়ে কনফিগার করতে পারেন এবং একটি সেট করা সময়ে টাস্ক শিডিউলার রান করতে অথবা শুধু এভিজি ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন বিকল্প হিসেবে। এভিজি প্রটেকশন সফটওয়্যারে সমন্বিত রয়েছে শিডিউলিং অপশন। এমনকি এভিজি’র প্রটেকশন সফটওয়্যারের ফ্রি এডিশনেরও এই সুবিধা পেতে পারেন।


উইন্ডোজ মেইনটেনেন্স টাস্ক স্বয়ংক্রিয় করা


উইন্ডোজ কমপিউটার পরিষ্কার এবং প্রোটেক্ট করা অপরিহার্য কাজ তবে কিছু কাজ স্বয়ংক্রিয় করা যেমন কঠিন তেমনি কঠিন মনে রাখা। এক্ষেত্রে ডিমেইনটেনেন্স টুলটি একগুচ্ছ টাস্ককে একত্রে বান্ডেল করে সহায়তা করবে প্রসেসকে সহায়তা করার মাধ্যমে।


নিয়মিতভাবে সময় মত কমপিউটারের মেইনটেনেন্সের কাজ করার কথা মনে রাখা বেশ কঠিন। মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়াল টুলটি চমৎকারভাবে কাজ করে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার প্রোটেকশনের ক্ষেত্রে। তবে পুরানো ফাইল এবং রেজিস্ট্রি এন্ট্রি অপসরণের কাজটি ব্যবহারকারী কাছে কিছুটা যন্ত্রণাদায়ক। ডিমেইনটেনেন্স টুলটি কার্যকর করে বেসিক মেইনটেনেন্সের কাজ এবং থার্ড পার্টি সফটওয়্যারে বান্ডেল করা যায় যাতে ব্যবহারকারীকে মনে রাখার ঝামেলা পোহাতে না হয়। ডিমেইনটেনেন্স টুল যেভাবে কাজ করে তা তুলে ধরা হয়েছে।


* ডিমেইনটেনেন্স টুলটি ডাউনলোড করে নিন।


* প্রথমবার এই টুল রান করালে কনফিগারেশন টুল দেখতে পাবেন। যদি ডিমেইনটেনেন্স টুল টোয়েক করতে চান, তাহলে স্টার্ট মেনুতে ‘Run’ টাইপ করে ‘dMaintenance.exe/config’ কোট ছাড়া টাইপ করুন।


* যখন কনফিগারেশন অপশন এন্টার করবেন, তখন যেসব ক্ষেত্রে আপনি স্বাচ্ছন্দবোধ করবেন সেসব বিষয়ে দৃঢ়ভাবে সম্পৃক্ত থাকুন। টেম্প ফাইল ডিলিট করা এবং ইন্টারনেট এক্সপেস্নারার টুলবার ডিজ্যাবল করার কাজটি বেশ সহজ। পিসির হেলথ স্ট্যাটাস ইনফো এবং বাড়তি রিপোর্ট ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হলে ডিমেইনটেনেন্স ই-মেইল করে ব্যবহারকারীকে অবহিত করার জন্য এ অপশন সম্পৃক্ত করা হয়েছে।


অটোমেশ কিউতে থার্ড পার্টি সফটওয্যার যুক্ত করতে চাইলে উপরের দিকে custom Application লেবেল করা বাটনে ক্লিক করুন। এরপর Download 3rd Party Apps Now বাটনে ক্লিক করুন যদি ইতোমধ্যে সেগুলো ইনস্টল করা না থাকে। আপনি ইচ্ছে করলে কাস্টোম অ্যাডস যুক্ত করতে পারেন। প্রতিটি কনফিগার করার জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে Custom Apps Config বাটন।


* ডিমেইনটেনেন্স নিয়মিতভাবে রান করানোর কথা আপনার মনে থাকা দরকার, ন্যূনতম এক স্টেপ প্রসেস। যদি আপনি চান, তাহলে উইন্ডোজের টাস্ক শিডিউলার রান করাতে পারেন কন্ট্রোল প্যানেল থেকে (System and Security হয়ে Administrative Tools এর মাধ্যমে) যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিমেইনটেনেন্স রান করে। তবে যদি টাস্ক শিডিলার দিয়ে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন, তাহলে ডিমেইনটেনেন্স আপনার দরকার নেই ব্যবহার করার।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।