https://comcitybd.com/brand/Havit

ইন্টারনেট

ফেসবুকে যেভাবে তথ্য চুরি ঠেকানো যায়

ফেসবুকে যেভাবে তথ্য চুরি ঠেকানো যায় ফেসবুকে যেভাবে তথ্য চুরি ঠেকানো যায়
 

ফেসবুকে যেভাবে তথ্য চুরি ঠেকানো যায়


ফেসবুক থেকে তথ্য চুরি হওয়ার ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বর্তমানে প্রশ্নের মুখে। তথ্য চুরি হওয়ার ঘটনার জেরে অনেকে ফেসবুক লাইভে হয়েছেন সরব। আবার অনেকে নিজের অ্যাকাউন্টটিই ডিলিট করে দিয়েছেন। যাদের মধ্যে আছেন বিখ্যাত বেশ কজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। প্রখ্যাত উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী এলন মাস্ক তদের অন্যতম। কিন্তু যারা এখনও এ দুটির একটিও করেননি, তারা কীভাবে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্য বেহাত হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাবেন! এ লেখায় দেখানো হয়েছে তার উপায়। নিচে এমন কিছু কাজের তালিকা করা হয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে বা করা থেকে বিরত থাকলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আর কোনো ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হবে না বা তার সম্ভাবনা কমে যাবে।


জন্ম তারিখ


এটি খুবই দরকারি একটি তথ্য। এর সাহায্য নিয়ে আরও অনেক তথ্য চুরি করার পথ খুলে ফেলতে পারে হ্যাকারেরা। আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জন্ম তারিখ দেয়া থাকলে এখনই ডিলিট করুন। জন্ম তারিখের সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সংযুক্তি থাকার জন্য একবার যদি তা জানা সম্ভব হয়, তাহলে সেখান থেকে খুব সহজেই আপনার নাম, ঠিকানা বের করে নেয়া যায়। এমনকি জন্ম তারিখের সাহায্যে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও থাবা বসাতে পারে হ্যাকারেরা। এজন্য জন্ম তারিখ ব্যবহার নিয়ে খুব সতর্ক থাকা জরুরি।


ফোন নম্বর


জন্ম তারিখের পর ফোন নম্বর হচ্ছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য, যার সাহায্য নিয়ে হ্যাকারেরা আরো বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য হাতিয়ে নেয়ার পথ খুঁজে নিতে পারে। যেহেতু ফোন নম্বর ইউনিক, তাই এটিকে অনেকটা হুক হিসেবে ব্যবহার করে আরো তথ্য চুরির দিকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। যদি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে ফোন নম্বর থাকে, তবে সেটিও ডিলিট করুন। কারণ, এখন ফোন নম্বরের সাথে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথির সাথে লিঙ্ক থাকায় ফোন নম্বরের সাহায্যে হ্যাকাররা চাইলে আপনাকে করতে পারে সর্বস্বান্ত।


বন্ধুদের তালিকা সংরক্ষিত করুন


বন্ধুদের তালিকা হচ্ছে তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যার সাহায্যে উপরে উল্লিখিত তথ্যের নাগাল পেতে পারে। কেননা, যদি আপনার বন্ধু তালিকা দেখার সুযোগ থাকে, তাহলে এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার নিরাপত্তা ব্যূহ ভেদ করে ফেলতে পারে। আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা বন্ধুদের তালিকা, সর্বসাধারণের জন্য নয়, তা সংরক্ষিত করুন। এতে আপনার প্রোফাইলের সুরক্ষা আরও মজবুত হবে।


বাড়ির শিশু ও যুব সদস্যদের ছবি সংরক্ষিত করুন


আপনার প্রোফাইলে থাকা আপনার সব ছবি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, একইভাবে আপনার প্রোফাইলে থাকা আপনার বাড়ির কারো বা পরিচিত কোনো তরুণ-তরুণীর ছবিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রোফাইলে থাকা সেসব ছবি সংরক্ষণ করুন। কারণ এই ছবিগুলো ডাউনলোড করে সহজেই সেগুলো অসৎ কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে। অনেক সময় দেখা গেছে মিথ্যা বা ভুয়া অনেক খবরের ক্ষেত্রে যেসব ছবি ব্যবহার করা হয়, সেগুলো অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নামিয়ে নেয়া হয়েছে। আবার অনেক সময় শত্রুতাবশত সেসব ছবি বিকৃত করে মানহানিকর পোস্ট দিতে পারে। তাই সব ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্বদাই সাবধান থাকা জরুরি।


লোকেশন সার্ভিস


লোকেশন সার্ভিস নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে নারীদের বেলায় এটি হতে পারে মারাত্মক। বর্তমান বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অবশ্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিজের অবস্থান জানার এ অপশন সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার পরিমাণ খুব বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে নিজের প্রোফাইলটির লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন। বিশেষ করে নারীদের জন্য এটা খুবই জরুরি। একই সাথে পুরুষ বা অন্যান্য ব্যবহারকারীরও নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার জন্য এ সার্ভিসটি বন্ধ রাখা উচিত।


রিলেটিভ সংরক্ষিত করুন


দেখা গেল ফেসবুকে আপনি বেশ সচেতন। উপরের সব কাজই আপনি করেছেন। ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার সাথে সম্পর্কিত আপনার আত্মীয়দের একটি মেনু থাকে। সেটি যদি আপনি সংরক্ষণ না করে থাকেন, তাহলে আপনার তথ্য চুরির ঝুঁকির সম্ভাবনা পুরোপুরিই বিদ্যমান থাকে। কেননা বর্তমানের তথ্য চোরেরা অনেক বেশি স্মার্ট। তারা আপনার আত্মীয়স্বজনদের তালিকা দেখেও আপনার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করে নিতে পারবে। আত্মীয়দের প্রোফাইলে গিয়ে সেখান থেকে হাতিয়ে নিতে পারবে আপনার মূল্যবান তথ্য। তাই নিরাপদ থাকতে রিলেটিভ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করুন। ভালো হয়, প্রোফাইলে যদি আপনার আত্মীদের যুক্ত না করেন।


ক্রেডিট কার্ড লিস্ট


অনলাইনে অর্থনৈতিক যেকোনো লেনদেনের সময় খুবই সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষ করে কার্ডে কোনো লেনদেনের বেলায় এ সতর্কতা আরো বেশি দরকার। ফেসবুকে কখনোই নিজেদের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য দেবেন না। কেননা, সে ক্ষেত্রে কার্ডের তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। ভুলবশত কার্ডের কোনো তথ্য দেওয়া হলে তা চুরি হয়ে গেলে নিশ্চিত আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই ফেসবুকে কার্ডে যদি কোনো তথ্য দিয়ে থাকেন, তবে এখনই ডিলিট করুন।


বোর্ডিং পাসের ছবি


আজকাল প্রায়ই দেখা যায় কে কোথায় যাচ্ছে, তা ফেসবুকে আপডেট দেয়া হয়। অনেকেই কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিলে, সিনেমায় গেলে, বেড়াতে গেলে, রেস্টুরেন্টে গেলে এমনকি বন্ধুদের আড্ডায় থাকলেও সেখানকার লোকেশনসহ আপডেট দিয়ে থাকেন। যারা এমনটা করেন তাদের মতে, এর মাধ্যমে সবার সাথে প্রতি মুহূর্তে কানেক্টেড থাকা সম্ভব হয়। সবার সাথে সংযুক্ত থাকা যায় এ কথা ঠিক। একই সাথে এই অভ্যাস কখনো কখনো বিপদের কারণ হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় ফেসবুকে অনেকেই বোর্ডিং পাসের ছবি দেন বিমানের টিকেটের সাথে। এটা কখনই করবেন না। এর সাহায্যে বিমান সংস্থাকে দেয়া আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্য হতে পারে বেহাত








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।