https://comcitybd.com/brand/Havit

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর কাছে ভারতের আসাম রাজ্য সরকারের আগ্রহ প্রকাশ ও মন্ত্রীর রপ্তানী করার সম্মতি দান

বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে চায় আসাম

ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের সেক্রেটারি সুনীত কেপি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের সেক্রেটারি সুনীত কেপি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
 

ভারতের  আসাম রাজ্য বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ নেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। আসাম রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এই আগ্রহ ব্যক্ত করে। ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার-এর নিকট আজ বুধবার তার বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ দপ্তরে কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের সেক্রেটারি সুনীত কেপি কোম্পানির একটি আগ্রহ-পত্র পেশ করেন।

 

ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সুনীত কেপিকে আশ্বস্ত করে বলেনআমাদের ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়ে কোন সমস্যা নেই। এইব্যাপারে আসামে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য মন্ত্রী  সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিলেটের তামাবিল থেকে মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে গৌহাটিতে আসাম নিজস্ব ব্যয়ে ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করেছে।

 

এই জন্য বাংলাদেশ তামাবিল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে বিকল্প লাইন স্থাপন করবে বলে মন্ত্রী প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেন। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ভারত সফরকালে আসাম বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে সুনীত কেপি মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

 



ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক আখ্যায়িত করে দেশের  মানুষের ডিজিটাল জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন উদ্যোগে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক পৌছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ভাগ এলাকায় ৪জি নেট ওয়ার্ক পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

 

এরই মাঝে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম করা হয়েছে এবং ৫জি চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১০০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৪৪০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় তের কোটিতে উন্নীত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

 

তিনি বলেন, দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব, ভারত ভূটানে ব্রডব্যান্ড রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের কাজ শুরু করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত আরও প্রায় তের হাজার দুই শত  জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ সংযুক্ত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সিমিউই এবং সিমিউই৫ এর সক্ষমতা বাড়াচ্ছেন সাকুল্য ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সাল পর্ন্ত চাহিদা মেটানো যাবে বলে জানান।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।