https://comcitybd.com/brand/Havit

স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে যাত্রা শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে

ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স সভায় নতুন মিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ভিশন ২০৪১

৭ এপ্রিল ২০২২ গণভবনে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর তৃতীয় সভা। সূত্র : বাসস ৭ এপ্রিল ২০২২ গণভবনে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর তৃতীয় সভা। সূত্র : বাসস
 

ডিজিটাল বাংলাদেশ। ভিশন-২০২১। সফল বাস্তবায়নের পর এবার নতুন মিশনস্মার্ট বাংলাদেশ। ভিশন-২০৪১। এই স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে যাত্রা শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে। ৭ এপ্রিল ২০২২ গণভবনে অনুষ্ঠিতডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর তৃতীয় সভায় এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ এবং নির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশের কনসেপ্ট পেপারটি উপস্থাপন করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। কনসেপ্টটি প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করে বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ফলো করবো ঠিক কিন্তু আগামী দিনে নতুন কোনো প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উদ্ভাবক হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

 

সভায় প্রযুক্তি ব্যবহারে 'নিরাপত্তার দিক' গুরুত্ব দিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গবেষণা বাড়াতে হবে। আসলে, প্রযুক্তি যেমন আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে, এটি সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে। এই দিক থেকে, আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে হবে। তাই গবেষণার কাজ অব্যহত রাখতে হবে, যাতে আমরাও যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি এবং বাংলাদেশ যেন সকলের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। সেটাই আমি চাই। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো কেন? আমাদের দেশের মানুষের মেধা আছে। সেটা বিকাশের সুযোগ করে দিলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবো।

 

যুব সমাজকে দক্ষ করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের যুব সমাজকে তৈরি করতে হবে। কারণ আমরা যে  চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি, তা শুধু চিন্তা করা না। বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের তরুণ সমাজকে আরও বেশি উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া, উপযুক্ত ট্রেনিং দেওয়া বা তাদেরকে সেভাবে গড়ে তোলা বা তাদের মন মানসিকতাকে সেভাবে গড়ে তোলা, সেটাই আমাদের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা আমাদের তরুণ সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি। যে কারণে আমরা যদি তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারি, শুধু এই প্রজন্মকে না, সামনের প্রজন্মকেও আমরা কিভাবে গড়তে পারি, তার প্রতি গুরুত্ব দেই, তাহলে বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট যেতে পারবে। সেই সাথে সাথে আমাদের শিক্ষা দীক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য, অর্থনীতি সব দিক থেকেই আমরা এগুতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।

 

মেধা পাচারপ্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আরেকটা বিষয় অনেকে বলেন যে আমাদের মেধা চলে যাচ্ছে, এটা নিয়ে আমি খুব বেশি চিন্তা করি না। কারণ এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে যেমন অনেকে  বাইরে যান, টাকা পয়সা কামাই করেন, তেমন অনেকেই কিন্তু, দেশে ফিরে আসছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেকেই, বিশেষ করে যারা নিউ জেনারেশন, তারা কিন্তু চলে আসছেন। এসে কাজ করছেন। কারণ আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ফলেই কিন্তু কাজগুলো সহজ হয়ে গেছে যে কারণে তারা এখন দেখেন যে বাংলাদেশে বসেও তারা নিজেদের কাজগুলো ভালো ভাবে করতে পারছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কিন্তু এখন একটা আকর্ষনীয় স্থান, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমাদের গৎবাঁধা পুরোনো কথা আর বলার দরকার নেই- যেব্রেন ড্রেনহচ্ছে। আমাদের তো লোকের অভাব নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং আসবে। বরং বাইরের থেকে বাংলাদেশের অবস্থা এখন অনেক দিক থেকে ভালো। অনেক ভালো অবস্থায় এখন আমরা আছি।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক হয় ২০১০ সালের ৩ আগস্ট। দ্বিতীয় বৈঠক বসেছিল ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। আর ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সনাম পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ করা হয়।

 

সূত্র : বাসস








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।