https://comcitybd.com/brand/Havit

সাম্প্রতিক খবর

"ডকটাইম" সব ধরণের স্বাস্থ্যসেবা এক অ্যাপেই

"ডকটাইম" সব ধরণের স্বাস্থ্যসেবা এক অ্যাপেই "ডকটাইম" সব ধরণের স্বাস্থ্যসেবা এক অ্যাপেই
 

ডকটাইমের বর্তমান ব্যবসায়িক অবস্থান, বিজনেস মডেল, অপারেশন, টিম এবং কর্পোরেট কালচার, প্রবৃদ্ধি, সামনের দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ, আগামী কয়েক বছরে তাদের অগ্রাধিকার, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার গতিশীলতা, ব্যক্তিগত মানোন্নয়ন, উদ্যোক্তাদের জন্য শেখার বিষয়, অ্যাডভাইজারদের গুরুত্ব এবং আরো অনেক কিছু সম্পর্কে আমরা কথা বলেছি ডকটাইমের ফাউন্ডার জনাব আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। নিচে সাক্ষাৎকারটি তুলে দেওয়া হলো-


ডকটাইমের সার্ভিসগুলো সম্পর্কে জানতে চাই…


আনোয়ার হোসেন: আমাদের মূল সার্ভিস হচ্ছে দেশের যেকোনো স্থান থেকে তাৎক্ষণিক, ২৪/৭ মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ডাক্তার ভিডিও কনসালটেশন দেওয়া। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াও, আরো বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা আমরা অফার করছি। এরমধ্যে আছে আমাদের পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে হোম মেডিসিন ডেলিভারি ও হোম ডায়াগনস্টিক টেস্টসহ আরো প্রয়োজনীয় সার্ভিস। এর সবগুলোই যেকোনো রোগীকে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে।


এছাড়া, মূল সার্ভিসগুলোর সঙ্গে রোগীদের সময়মতো ঔষধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে মেডিসিন রিমাইন্ডার; ডাক্তার ফলো-আপ রিমাইন্ডার, নিয়মিত হেলথ টিপস এবং আরো অনেক বাড়তি সার্ভিস রয়েছে, যেগুলো একটি আরেকটির ডিমান্ড ফুলফিল করে। এই সার্ভিসগুলোর পাশাপাশি আমরা প্রতিটি রোগীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ডও প্রোভাইড করি।


ইউজারদের স্বাস্থ্য বীমা দিতে গার্ডিয়ান লাইফ ও চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে এবং মেন্টাল হেলথ বিষয়ক সেবা দিতে ইতোমধ্যেই আমরা সাইকোলজিক্যাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিক (PHWC)- এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। এছাড়াও আমরা আমাদের পার্টনার বাংলালিংকের মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের জন্যও প্যাকেজ অফার করেছি।


আপনার বিজনেস স্ট্রাটেজি এবং পার্টনারদের সঙ্গে কাজ করার সিস্টেমগুলো কী?


আনোয়ার হোসেন: আমাদের কাজ করার নিজস্ব ধরন আছে। কিছু কিছু ডাক্তারের সঙ্গে আমরা পার-কনসালটেশনের ভিত্তিতে কাজ করি। যেমন, তাদের প্রতিটি অনলাইন কনসালটেশন থেকেই আমরা একটা কমিশন পাই৷ একইভাবে, আমাদের ইন-হাউজ ডাক্তার যারা আছেন, তারা আমাদের অফিসে বসেই কাজ করেন। এরজন্য তাদের একটা ফিক্সড স্যালারি দেওয়া হয়।


ইউজারদের কাছ থেকে আমরা যেসব হোম মেডিসিন ডেলিভারি এবং হোম ডায়াগনস্টিক টেস্টের অর্ডার পাই, সেসবের জন্যও পার্টনাররা আমাদেরকে একটা কমিশন দেন। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ইউজারদের একটা আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট দিতে পারি।


কাস্টমার সার্ভিস, অপারেশন্স, ডাক্তার ম্যানেজমেন্ট, অনবোর্ডিং ডাক্তার, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, কর্পোরেট সেলস, ব্র্যান্ড মার্কেটিং, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইউজারদের ২৪/৭ সার্ভিস নিশ্চিত করতে আমাদের আলাদা আলাদা টিম আছে।


আপনাদের টিমে এখন কতজন আছেন?


আনোয়ার হোসেন: এই মুহূর্তে আমরা ৯০ সদস্যেরও বেশি একটি টিম নিয়ে কাজ করছি। গত ৬-৮ মাসে এই টিমটা দ্বিগুণ হয়েছে।


প্রতি মাসে আপনারা কতজন ইউজারকে সার্ভিস দেন?


আনোয়ার হোসেন: গড়ে প্রতি মাসে ১৫০০০-এরও বেশি কনসালটেশন সার্ভিস আমরা দিই। এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।


১০ টাকায় ডাক্তার কনসালটেশন ডকটাইমের অন্যতম একটা ক্যাম্পেইন ছিল। ব্র্যান্ড পরিচিতি ও ইউজার বাড়াতে নিঃসন্দেহে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই মুহূর্তে ডকটাইমের পরিধি বাড়াতে এবং মার্কেটিং ও বিজনেস গ্রোথের ক্ষেত্রে আপনার স্ট্র্যাটেজি ও প্ল্যানগুলো কী? 


আনোয়ার হোসেন: ব্র্যান্ড মার্কেটিং-এর বিষয়গুলো দেখার জন্য আমাদের অত্যন্ত দক্ষ একটা টিম আছে। আমরা এখনো পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করছি। আমাদের ব্র্যান্ড মার্কেটিং টিম এমন একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে সফল হয়েছেন যা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।


এ পর্যন্ত আসার পেছনে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর অবদান অনন্য। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করেছি। বর্তমানে ওভিসি নির্মাণের পাশাপাশি অফলাইনে কীভাবে প্রচারণা চালানো যায়, সেসব নিয়েও নানা পরিকল্পনা চলছে।


B2B মার্কেটের জন্য আপনাদের এখন কোনো পরিকল্পনা বা অফার আছে?


আনোয়ার হোসেন: অলরেডি আমরা B2B সেগমেন্ট নিয়ে কাজ করছি। SME এবং বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমাদের বেশ কিছু চমৎকার এবং ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট আছে। আমি খুবই খুশি কারণ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা প্রায় ৫০টি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো একটি B2B পোর্টফোলিও তৈরি করেছি। এর মধ্যে আইটি, টেক্সটাইল ও আরএমজি, এনজিও, টেলিকমিউনিকেশন এবং আরো অনেক ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে।


B2B মার্কেটে আমরা এখন একটা সাবস্ক্রিপশন মডেল অফার করছি। এর মাধ্যমে ওয়ার্কাররা ও কর্মীরা নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য কোম্পানির মাধ্যমে কেনা স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজগুলোর সুবিধা পাবেন। যেকোনো স্থান থেকে তারা আমাদের ইউজার-ফ্রেন্ডলি অ্যাপের মাধ্যমে ২৪/৭ আনলিমিটেড ভিডিও কনসালটেশন নিতে পারবেন। সবার জন্য আমরা স্বাস্থ্য ও জীবনবীমা কাভারেজসহ বিভিন্ন স্বল্প-মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ প্রদান করছি, সেইসাথে কর্মীদের চাহিদা অনুযায়ী মানসিক স্বাস্থ্য সেশনের ব্যবস্থাও রয়েছে।


ডকটাইম ডিজিটাল হেলথকেয়ার সার্ভিস নেওয়ার মাধ্যমে কর্মীরা এবং মালিকপক্ষ কীভাবে উপকৃত হতে পারে বা কোম্পানি এর মাধ্যমে কী কী সুবিধা বা উপকার পাবে ?


আনোয়ার হোসেন: বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইফেক্টিভ হেলথকেয়ার সার্ভিস প্রোভাইড করলে সর্বোপরি তা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে। মালিকপক্ষ আমাদের হেলথকেয়ার প্যাকেজগুলো নেওয়ার মাধ্যমে কর্মীদের সাধারণ স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, হীনমন্যতা, জব বার্ন আউটের মতো বিশেষ স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতে পারবেন। অন্যদিকে, এই সার্ভিসগুলোর নিলে প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে, কর্মীদের অনুপস্থিতির হার ও চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমবে, জব সেটিসফেকশন এবং কর্মীদের মনোবল বাড়বে। 


DocTime কর্পোরেট মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম কেন গুরুত্বপূর্ণ?


আনোয়ার হোসেন: ওয়ার্কপ্লেসে মানসিক স্বাস্থ্য বলতে আসলে কাজের মধ্যে থাকার সময় কর্মীদের মনস্তাত্ত্বিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতা বোঝায়। ডকটাইমে আমরা অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে অনলাইন- অফলাইন এবং অন-ডিমান্ড ওয়ান টু ওয়ান বা গ্রুপ সেশন অফার করি। এই সেশনগুলোর টার্গেট হচ্ছে কাজের চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, এবং অরগানাইজেশন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা কমানো; যাতে কর্মী, সুপারভাইজার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়। এই বিষয়ে আমরা দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন পরামর্শকদের সঙ্গেও যুক্ত হয়ে পরামর্শ নিচ্ছি।


বাংলাদেশে ডিজিটাল টেলিহেলথ-এ চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো কী কী?


আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই এ বিষয়টির সঙ্গে এখনো ঠিকঠাক অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি। সাধারণভাবে মানুষ ডাক্তারদের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পুরনো পদ্ধতিতেই অভ্যস্ত। নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে তাদের আগ্রহের অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করাও বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। এছাড়া, তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক ট্রেনিং দেওয়াও কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। আবার সবকিছু ডিজিটাইলাইজ হয়ে উঠলেও ইন্টারনেট সেবা কিন্তু এখনো এ দেশে বেশ ব্যয়বহুল। গ্রামাঞ্চলে স্মুথভাবে এখনো সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না। অনেকের কাছে স্মার্টফোনও নেই। যাদের আছে, তাদের মধ্যেও অনেকে আবার ঠিকঠাক অ্যাপ ব্যবহার করতে পারদর্শী নন। এর সবগুলোই ডিজিটাল টেলিহেলথের ক্ষেত্রে একেকটা চ্যালেঞ্জ! 


আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৭% গ্রামাঞ্চলে বাস করে। গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে দক্ষ জনবল নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত নয়। হঠাৎ অসুস্থ হলে রোগীকে জরুরি সেবা দেওয়ার কাজে ডিজিটাল টেলিহেলথ ভালো মাধ্যম হতে পারে। এ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবাকে সহজলভ্য ও কম খরচে হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের স্বাস্থ্য খাতে টেলিহেলথ প্রযুক্তির প্রয়োগে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান বাড়ানোর, স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহজলভ্য করার এবং চিকিৎসা ব্যয় কমানোর অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে রোগীদের প্রথম চাওয়া থাকে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে সেবাগ্রহণ করা। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সুবাদে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া কিংবা ল্যাব টেস্ট এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সহজলভ্য ও ঝামেলামুক্ত হয়েছে।


ডকটাইমের সামনে এখন কী কী চ্যালেঞ্জ আছে?


আনোয়ার হোসেন: এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রমাগত ব্যবসার গতি পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। শুরুতে আমরা কোয়ালিটি আর গ্রোথের দিকে মনোযোগ দিয়েছি। এখন আপনি যদি ঢাকায় ১০ জন মানুষকে ডকটাইম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তাদের মধ্যে অন্তত ২ জন আমাদের সম্পর্কে জানবেন। এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রোথ ধরে রাখা। আমরা আমাদের বিজনেস মডেল নিয়েও আরো কাজ করছি। শহর ও গ্রাম, দুই জায়গাতেই আইসিডিডিআর,বি-এর এনসিডি প্রোগ্রাম ডিজিটাইজ করার জন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করা শুরু করেছি।


আগামী কয়েক বছরে ডকটাইমের অগ্রাধিকারগুলো কী কী?


আনোয়ার হোসেন: আপাতত আমাদের মূল অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রবৃদ্ধি বা গ্রোথ ধরে রাখা। অনেক স্টার্টআপই তাদের গ্রোথ ধরে রাখতে পারে না। আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার পাশাপাশি বিজনেস মডেলকে আরো ভালো করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইউজার ধরে রাখা এবং প্রোডাক্টের প্রতি ইউজারদের আকর্ষণ বজায় রাখা। একইসঙ্গে, আমরা আমাদের ইউজারদের জীবনযাপনকে সহজ করতে আরো সার্ভিস যুক্ত করার পরিকল্পনাও করছি।


প্রতিযোগীতামূলক বাজারে আপনার কোম্পানিকে অন্যদের থেকে আলাদা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কী ধরনের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাজ করছেন?


আনোয়ার হোসেন: প্রতিযোগিতাকে আমি পজেটিভভাবে দেখি। এই সেক্টর সম্পর্কে জানতে এবং এর পরিধি বাড়াতে সহায়ক হিসেবে আরো অনেক কোম্পানিকে এই সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। আমরা এই সেক্টরে লিড করতে চাই এবং সেই টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে প্রযুক্তি। আমরা এমন একটা পজেটিভ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি, যা সহজে ব্যবহার করা যায়।


আমরা আমাদের ইউজারদের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াটাকে অগ্রাধিকার দিই। দেশের সিংহভাগ মানুষের কাছে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা আরো সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করে তুলতে নিরলসভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতি সপ্তাহেই আমরা নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসি এবং নতুন ফিচার যুক্ত করি। ফলে বাজারে নতুন কোনো কোম্পানি এলে, আমাদের কাছাকাছি পৌঁছাতে তাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। 


আপনি যদি ডকটাইমকে বাংলাদেশের অন্যান্য হেলথকেয়ার প্ল্যাটফর্মের সাথে তুলনা করেন, আমি গ্যারান্টি দিতে পারি যে অন্য কোথাও ডকটাইমের মতো একই রকম অভিজ্ঞতা আপনার হবে না। আমাদের ফিল্টারিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডাক্তার খোঁজা অনেক সহজ একটা ব্যাপার। আমাদের ইউজাররা ডাক্তারদের রেটিং দিতে পারেন, আপনি কোন ডাক্তার দেখাতে চান, সেটা এই রেটিং-এর উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। 


ডকটাইম-এর এই যাত্রায় আপনি ইম্প্যাক্টফুল কিছু খুঁজে পেয়েছেন?


আনোয়ার হোসেন: মহামারি আমাদের সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল। ওই সময় ডিজিটাল সার্ভিসগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই পরিবর্তন আমাদের উপকার করেছে। আমার এই যাত্রা জুড়ে কিছু পরামর্শক আছেন, যারা আমাকে অসাধারণ সমর্থন জুগিয়েছেন। ড্যাফোডিল ফ্যামিলির সিইও মোহাম্মদ নুরুজ জামান স্যার আমার তেমনই একজন মেন্টর। তিনি আমার পথচলায় সবসময়ই সহায়ক হিসেবে ছিলেন। সুযোগ পেলেই আমি তার সঙ্গে দেখা করি। একটি স্টার্টআপ চালু করার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উনি আমাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছেন।


আমার জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ডাক্তারদের অনবোর্ড করা এবং তাদের এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে রাজি করানো। আরেকটি চ্যালেঞ্জ ছিল মার্কেটিং এবং গ্রোথ। ডাক্তার খোঁজার জন্য আমি আমার বন্ধু, আত্মীয়স্বজন এবং ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করেছি। এমনকি একবার একজন ডেন্টিস্টের কাছে গিয়েছিলাম, তার কাছেও জানতে চেয়েছি, তিনি আমাকে ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সাহায্য করতে পারবেন কি না।


আপনি কীভাবে প্রোডাক্টিভ ও মনোযোগী থাকেন?


আনোয়ার হোসেন: প্রোডাক্টিভ থাকার জন্য এটা মেনে নিতে হবে যে আপনি একা সবকিছু করতে পারবেন না। কাজ পরিচালনার জন্য দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজতে হবে এবং তাদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তার মানে হচ্ছে মাইক্রোম্যানেজমেন্ট এড়িয়ে চলতে হবে। এটা মিনিংফুল প্রোডাক্টিভিটির প্রথম ধাপ।


ডকটাইম শুরু করার সময় আমার ফোকাস ছিল প্রোডাক্ট তৈরিতে। প্রোডাক্ট তৈরি হওয়ার পর আমি অনবোর্ডিং ডাক্তার এবং তারপর মার্কেটিং-এ কাজ শুরু করি। নিজে সবকিছু একা করার চেষ্টা না করে আমি ধারাবাহিকভাবে অন্যদেরও কাজের দায়িত্ব দিয়েছি। 


আমি একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যে কখনো হাল ছাড়ে না। এমনকি কোথাও যদি আমার মাত্র ১% সাফল্যের সম্ভাবনাও থাকে, সেখানেও আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ৯৫% সময় আমি দেখেছি, যখন আমি কোনোকিছুতে হাল ছেড়ে না দিই, সেখানে সফলতা পেয়েছি। ফলে যখন আপনার কোনো পরিকল্পনা কাজ না করে, সেটা পরিবর্তন করে আবার চেষ্টা করুন।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।