https://www.brandellaltd.com/

ইন্টারনেট সিকিউরিটি

স্পাইওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকবেন

স্পাইওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকবেন স্পাইওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকবেন
 

স্পাইওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকবেন


আমরা সবাই কমপিউটার চালাতে গিয়ে ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত থাকি। ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য কত কিছু করতে হয়। দেশে এখন অনেক অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড কপি পাওয়া যাচ্ছে। দাম খুব বেশি না হলেও আমাদের মতো কম আয়ের দেশের জন্য কিছুটা বেশি তো বটেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তাতে করেও কি সর্বোচ্চ সুরক্ষা সবাই পাচ্ছেন? ভাইরাস বা এ জাতীয় সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য টাকা খরচ করে অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড কপি অনেকেই হয়ত কিনছেন। কিন্তু কয়জন তার সুফল পাচ্ছেন বলা মুশকিল। এর কারণ হচ্ছে অ্যান্টিভাইরাস কিনেই যেন সবাই মুক্ত। অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে না জানার কারণেই শুধু শুধু অর্থের অপচয় হচ্ছে। কমপিউটিংয়ে তা কোনো কাজেই আসছে না। মনে রাখতে হবে লাইসেন্সড হোক বা আনলাইসেন্সড হোক নিয়মিত আপডেট, শিডিউল্ড স্ক্যানিং এবং ফুল রানটাইম প্রোটেকশন না করলে যত লাইসেন্সড এবং শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাসই ব্যবহার করুন না কেন তা কোনো কাজেই আসবে না।


উইন্ডোজ এক্সপিতে সিকিউরিটি সেন্টার যুক্ত করার ফলে অ্যান্টিভাইরাসের সাথে অপারেটিং সিস্টেমের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আর অনেকেই মনে করেন, অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা আছে-তার মানে আর কোনো সমস্যা নেই, ভাইরাস থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা পাওয়া গেছে। ব্যাপারটি তা নয়। কখনই মনে করবেন না অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা আছে বলেই আপনি সুরক্ষিত। পুরোপুরি সুরক্ষা পেতে হলে অ্যান্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট করতে হবে। আপডেট নিয়মিত না করা হলে অ্যান্টিভাইরাস কোনো কাজেই আসবে না। আপনি যতই ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন না কেন, আপডেট করা না হলে সেটি অনেক ভাইরাস শনাক্ত করতেই পারবে না। তাই আপনার কমপিউটার পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে হলে নিয়মিত ইন্টারনেট থেকে অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করার কোনো বিকল্প নেই। শুধু ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা মানেই যে আপনার সিস্টেম পুরোপুরি সুরক্ষিত মোটেও তা নয়। বরং এখনকার সময়ে ভাইরাসের চাইতে স্প্যাম সবচেয়ে ক্ষতি করে থাকে। স্প্যাম কি তা জানতে হলে জানতে হবে অ্যাডওয়্যার ও স্পাইওয়্যার।


অ্যাডওয়্যার ও স্পাইওয়্যার কোনো ভাইরাস নয়। তবে একই গোত্রের বলা যেতে পারে। অ্যাডওয়্যারের কাজ হচ্ছে ওয়েব ব্রাউজ করার সময় অনাকাক্সিক্ষত অ্যাড দিয়ে ব্যবহারকারীকে বিরক্ত করা। এরই আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে ফিশিং। ফিশিং হচ্ছে সাইট হাইজ্যাক করা। আর স্পাইওয়্যার হচ্ছে সিস্টেমে ব্যবহারকারীদের ওপর গুপ্তচরগিরি ফলানো। এটিও ভাইরাস সমগোত্রীয়। অনেক সময় ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড, অ্যাকাউন্ট প্রভৃতি হ্যাক করে থাকে এসব স্পাইওয়্যার।


কিছু কিছু অ্যান্টিভাইরাস এবং সিস্টেম মেইনটেইন সফটওয়্যার আছে যেগুলো পার্সোনাল ফায়ারওয়াল বা এ ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। এই ফায়ারওয়ালগুলো বিভিন্ন অনাকাক্সিক্ষত অনুপ্রবেশ থেকে আপনার সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে। এই অনুপ্রবেশ হতে পারে কোনো হ্যাকার বা ক্ষতিকর কোনো প্রোগ্রামের। সিস্টেমের সুরক্ষার জন্য এ ধরনের ফায়ারওয়ালের কোনো বিকল্প নেই। তাই অনাকাক্সিক্ষত বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা উচিত।


ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বলব বিনা প্রয়োজনে আপনাদের ব্রাউজারের পপআপ এনাবল করবেন না। আর চেষ্টা করবেন সবসময় শুধু ট্রাস্টেড সাইটগুলোতে ভিজিট করতে। হ্যাকিং সাইটগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলবেন। এজন্য ভালো হয় কোনো সাইটে ঢোকার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য নেয়া। তাহলে অ্যাডওয়্যার ও স্পাইওয়্যার থেকে অনেকটাই নিরাপদে থাকা সম্ভব।


স্পাইওয়্যার ঠেকাতে একটি ভালো ও কার্যকর সফটওয়্যার হচ্ছে ইয়াহু অ্যান্টি স্পাই। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো একই সাথে সমমানের দুইটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার রাখা যায় না। কিন্তু ইয়াহু অ্যান্টি স্পাই সফটওয়্যারটি অন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের সাথে একসাথে চলতে পারে। এই সফটওয়্যারটি পুরোপুরি ফ্রি। শুধু ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিলেই চলবে। এই অ্যান্টি স্পাই সফটওয়্যার বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ইয়াহু এর সাপোর্ট বাড়াতে না পারায় ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে এর সাথে প্রথমে নরটন অ্যান্টি স্পাই এবং পরে সিএ অ্যান্টি স্পাই যুক্ত করে দেয়। বর্তমানে ইয়াহুর ওয়েবসাইটে সিএ অ্যান্টি স্পাই পাওয়া যাচ্ছে। মূলত ইয়াহু তাদের টুলবারকে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যেই সিএ অ্যান্টি স্পাই বিনামূল্যে বিতরণ করছে।


এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য http://toolbar.yahoo.com সাইটটি ভিজিট করুন। ডাউনলোড করার জন্য ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন। ডাউনলোড হয়ে গেলে ইনস্টল করুন। ইনস্টল হয়ে গেলে ইয়াহু অ্যান্টি স্পাই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সাথে ইন্ট্রিগ্রেটেড হয়ে যাবে। এই অ্যান্টি স্পাই চালানোর জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থেকে ইয়াহু টুলবার থেকে সিএ অ্যান্টি স্পাই ক্লিক করুন। এর অপশন মেনু থেকে সিলেক্ট করুন (চিত্র-১)। দিনে একবার অন্তত ইয়াহু অ্যান্টি স্পাই চালাবেন। এটি অটোমেটিক আপডেট সিলেক্ট করা থাকলে নিজে থেকেই আপডেট হবে। ইয়াহু অ্যান্টি স্পাই ব্যবহারের জন্য আশা করা যায় স্পাইওয়্যার থেকে আপনি পুরোপুরি সুরক্ষিত।


এবারে দেখা যাক কিভাবে এই অ্যান্টি স্পাই ব্যবহার করা যায়। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এবং ইয়াহু টুলবার প্রয়োজন। প্রথম চিত্রের মতো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থেকে এই সিএ অ্যান্টি স্পাইয়ের রান বাটনে ক্লিক করে চালু করলে প্রথমেই আপডেট করার জন্য অনুমতি চাইবে। আপডেট করা জরুরি। আপডেট হয়ে গেলে তা আপনাআপনি রান করবে। প্রথমবার চালু করার পর এর অ্যাডভান্সড অপশন থেকে প্রত্যেকটি অপশন টিক মার্ক দিতে হবে (চিত্র-২)। স্ক্যান করার পর স্পাইওয়্যার পেলে রিমুভ অল বাটনে ক্লিক করে সব স্পাই মুছে ফেলতে হবে








১ টি মন্তব্য

  • Shamim Miah

    Shamim Miah

    ২০২২-১০-১৫ ২১:০৬:০২

    Ok



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।